এখন থেকে বাংলাদেশের যেকোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পণ্য সরবরাহ করার পরই অর্থ দাবী করতে পারবে।
“সমস্যা হচ্ছে যে, কিছু ই-কমার্স কোম্পানি ভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যথাসময়ে পণ্য দিচ্ছে না। এবং কিছু কোম্পানির হাতে অনেক ভোক্তার টাকা জমা হয়ে গেছে। কিছু মার্চেন্ট যারা পণ্য সরবরাহ করে, তাদেরও টাকা জমা হয়ে আছে। এসব কোম্পানির কাছে। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইভ্যালি একটা। এর সাথে আরও কোম্পানি আছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেই কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে”
লোভনীয় নানা রকম অফার দিয়ে গ্রাহকের কাছে পণ্য সরবরাহের আগেই অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অর্থ নিচ্ছে এবং তা নিয়ে মানুষের হয়রানির অভিযোগ এসেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন ২০২১) ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, পণ্য গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর পরই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অর্থ পাবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা নিয়ন্ত্রণ করবে।
ইভ্যালি এবং আলেশা মার্টসহ ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সর্বশেষ দু’টি বেসরকারি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এবং ব্যাংক এশিয়া, ক্রেডিট, ডেবিট এবং প্রি-পেইড কার্ডের লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে।এর আগে ব্র্যাক ব্যাংক লেনদেন বন্ধ করেছে।
“তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট গেটওয়েগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হবে যে পণ্য ডেলিভারির পর গেটওয়েরা যখন তথ্য পাবে, এটা নিশ্চিত হওয়ার পর তারা পেমেন্টটা ই-কমার্স কোম্পানির জন্য রিলিজ করবে।
ইভ্যালির কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেল বলেছেন, পেমেন্ট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে “কাস্টোমারের পেমেন্ট সিস্টেমে একটু পরিবর্তন আনবে। আমরাও এটাকে স্বাগত জানাই। নীতিনির্ধারকরা যে নিয়মকানুন করবেন, আমরাও চাই না তার বাইরে যেতে।”
সূত্র: বিবিসি বাংলা