গোলাম মোর্শেদ চন্দনের কবিতা

গোলাম মোর্শেদ চন্দন
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানার বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে ১৯৭৪ সালের ৬ নভেম্বর তার জন্ম। পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মাজাহারুল হক (বাহার তালুকদার) এবং মাতা কামরুন নেছা। চন্দন পেশায় ব্যাবসায়ী হলেও নেশায় সার্বক্ষণিক কবি। কবিতা ছাড়াও তিনি অসংখ্য গীতি কবিতার রচয়িতা। তার মৌলিক প্রবন্ধ ‘পরকীয়া’ পাঠক মহলে বেশ প্রশংসনীয় হয়েছে।
গ্রন্থাবলি: একদিন দিগন্তের সাথে, তুমিও; বিষবৃক্ষপূরাণ; যেখানে রাত্রি শেষ সেখানেও রাত; খুঁজি, পূরাণ দেয়ালের ভাঁজে; মাতাল পূর্ণস্নান।
মাতাল পূর্ণস্নান – কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘পূর্বপশ্চিম সাহিত্য সম্মাননা ২০১৭’ তে কবি শান্তিময় বিশ্বাস স্মৃতি পুরস্কার অর্জন করে।
১.
চাঁদ ওঠেনি ফুল ফোটেনি
জোছনা ভেজা মন।
বৃষ্টি এসে ভাসিয়ে নিল
সকল আয়োজন।
২.
শেষ বিকেলের রোদ
ঝড় বৃষ্টি কেড়ে নিল
হল না আমোদ।
৩.
ভয় করেছি জয়
অন্ধকারের আলোর মোহ
তাড়াবো নিঃশ্চয়।
৪.
প্রত্যাশা যার ভুল
প্রতীক্ষাটা তার জীবনে
বাঁধায় হুলুস্থুল।
৫.
জীবনটা যার চাকা
ঘুরেফিরে চলবেই সে
হবে না তো বাঁকা।
৬.
একের ভেতর তিন
সাধন ভজন বুঝতে পেলে
বুঝবে সীমাহীন।
৭.
আঁধার রাতের আলো
নিংড়ানো সুখ ফিরিয়ে দিল
আকাশটা চমকালো।
৮.
বিন্দু বিন্দু সুখ
অজস্রবার হারিয়ে খুঁজি
কেঁপে ওঠে বুক।
৯.
তিন ছয় নয়
সংখ্যাতত্ত্বে লুকিয়ে থাকা
অনন্ত বিস্ময়।
১০.
অবাক চোখে আকাশ দেখি, পাতাল জুড়ে মেঘ
আমার ভেতর নেচে ওঠে, বিদ্রোহী আবেগ;