সালমা চৌধুরী
ছবিঃ শাহরিয়ার রিজুয়ান।
মানুষ কোন দীর্ঘজীবী প্রাণী নয়। বড়জোর বেঁচে থাকে সত্তুর বছর! না হয় খুব ভাগ্যবান হলে টেনে টুনে আশির বেশী। যা অবশ্য খুব কম মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।তবে অতিমারীর মরণ ছোবলে সে সম্ভাবনা দাঁড়িয়েছে আজ শূন্যের কোঠায়।
গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এক বছর ৩৬৫ দিন।আর প্রতিদিনে ৮৬৪০০ সেকেন্ড। তাই ভেবে দেখুন তো, খুব বেশি সময় কি আমাদের জন্য বরাদ্দ করা আছে! প্রতি সেকেন্ডের সাথে সাথে কিন্তু মৃত্যু খুব সন্তর্পণে এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে।
আয়ু যদি কয়েক হাজার বছর হতো তাহলে সময়ের বিলাসিতা হয়তো মানাতো। তাই এ স্বল্প আয়ুটাকে একটু কাজে লাগানো আমাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন।
এজন্য বলছি, সময় পেলেই হুট করে বেড়িয়ে আসুন চমৎকার কোন জায়গা থেকে। রাত জেগে দেখুন তারা ভরা আকাশ। চিনুন সপ্তর্ষিমণ্ডল কে। ভোরের সূর্যোদয়ের আলোকচ্ছটা মন ভরে উপভোগ করুন।
সূর্যের প্রথম কিরণে, ঘাসের উপর পড়ে থাকা শিশির বিন্দু যখন অপূর্ব দ্যুতি ছড়ায়,তা উপভোগ করেছেন কখনো! সন্ধ্যায় পাখিরদের ঘরে ফেরার মাঝেও যেমন আছে এক রকমের ঐক্যতান, ঠিক তেমনি নদীর বয়ে যাওয়া ঢেউয়ের মাঝেও আছে অপূর্ব সুর, তাল ও লয়! হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছেন কি!

ভরা পূর্ণিমাতে কিংবা ঘোর অমাবস্যায় তীব্র জোয়ারে ফুসে ওঠা সাগরকে দেখুন। দূর পাহাড়ের ডাক কে উপেক্ষা না করে একটি বার যান না এগিয়ে!
জীবনের সমস্ত ঋণাত্মক চিন্তাভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে, স্রষ্টাকে স্মরণ করুন। ভ্রমণ করুন। দেখুন পৃথিবীটা কতো সুন্দর! হৃদয় দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য অনুভব করে বোঝার চেষ্টা করুন, ঠিক কেমন লাগে।
ভ্রমণ আপনার হৃদয়কে প্রসারিত করে। মনের সংকীর্ণতাকে দূর করে। এরপর হয়তো দেখবেন, জীবনে বেঁচে থাকার অন্য অর্থ আপনি খুঁজে পেয়েছেন।