রাতে অরোরা কিছু খেতে না চাইলেও অরণি তাকে ছাড়ল না। রাতের খাবার শেষে অরিত্রের সাথে বারান্দায় বসে অরোরা বলল, “আজ মনে হয় চাঁদটা অনেক বড়।“
“হুমম, আমাদের দেশে এক চন্দ্রাবতীর আগমন ঘটেছে বলে, এই চাঁদ তাকে ভালো করে দেখার জন্য জোছনার আলোকে ছড়িয়ে দিতেই অত বড় হয়েছে?“
“চন্দ্রাবতী? এই চাঁদটা কি তোমার দেশের জন্য আলাদা?“
“অবশ্যই, আমার দেশের মতো এত সুন্দর চাঁদ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আমার দেশের দিগন্তের সবুজে ছড়ানো চন্দ্রালোকের মতো রূপালি রহস্যময়তা বিশ্ব-ব্রক্ষ্মাণ্ডের কোথাও তার পাখনা মেলে না!“
“বাহ, অরিত্র। তোমার কথাগুলো দারুণ মিথ্যা হয়েও তা সত্যের চেয়ে সত্যতর। ধ্রুবের চেয়ে তোমার কথাগুলো ধ্রুবতর। আর তোমার এই কথা থেকে আমি শিখলাম যে, জীবনের প্রাপ্তি আর সুখ নির্ভর করে তুমি কীভাবে ভাবছ, কীভাবে কল্পনা করছ –তার ওপর।“
বারান্দায় প্রবেশ করার সময় চয়ন রাহমান অরোরার কথাগুলো শুনে খুব খুশি হলেন। তাদের কাছে এসে বললেন, “আমি বসতে পারি?“
অরিত্র তার চেয়ার ছেড়ে ঘরের ভেতর থেকে আরো দুটি চেয়ার নিয়ে এল। অরোরা দাঁড়িয়ে চেয়ারগুলো গোছানোর সময় অরণির চেয়ারটা অজান্তেই নিজের পাশে রাখল; সব দ্বিধা ঝেড়ে চয়ন রাহমানকে ‘বাবা‘ সম্বোধন করে বলল, “বাবা, বসুন প্লিজ। আমরা আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছি।“
জীবনে প্রথম কোনো মেয়ের মুখে ‘বাবা‘ সম্বোধিত হওয়ায় ‘কন্যা‘ সন্তান না থাকায় দুঃখিত হলেন চয়ন। আর অরোরাকে সাথে সাথেই তিনি কন্যার আসন দিয়ে প্রগলভ হয়ে উঠলেন। এই বারান্দাটা তার কাছে জীবনের এক আনন্দধ্বনির প্রতীক হয়ে উঠল। তিনি বললেন, “ধন্যবাদ মা।“
“মা, আসছেন না …“
“সে সব গোছাবে। এশার নামাজ পড়বে, তারপর আসবে। অরোরা, আমি তোমার শেষ কথাগুলো শুনেছি। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা।“
“কোন কথাগুলো?“
“ঐ যে বলছিলে, কোন কোন মিথ্যা সত্যর চেয়ে সত্যতর। কারণ সেই মিথ্যা মানবের অন্তর্লোক বিনির্মান করে সত্যকে খোঁজার জন্য প্রস্তুত করে। মানবের উত্তরণের জন্য তাই জ্ঞানগর্ভ আলোচনা অথবা প্রবন্ধের চেয়ে কল্পনা-সমৃদ্ধ গল্প প্রয়োজন।“
“ঠিক, আমিও তাই মনে করি।“
“কিন্তু মা, আমার দেশে এ ভাবে ভাবাটাও অপরাধ।“
“কেন?“
“আমি একজন সরকারী কর্তা ছিলাম। সংস্কৃতি নিয়ে ভাবতাম। পুণ্ড্র সভ্যতা নিয়ে তোমার মতো আমিও এক অভিসন্দর্ভ প্রস্তুত করে জমা দেয়ায় একজন বিখ্যাত লেখক আমার গবেষণা কর্মটার প্রশংসা করে পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছিলেন।“
“তারপর?“
“আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে পড়াশোনা করে পিএইচডি ডিগ্রি নেয়ায় কর্মস্থলে আমার বন্ধুর চেয়ে শত্রু জুটল বেশি। ডেপুটি সেক্রেটারির পদবির এক নিয়োগে আমাকে প্রত্ন-অধিদপ্তর থেকে রাষ্ট্রভবনে বদলি করা হলো।“
“কেন!“
“তার চেয়ে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে তার উর্ধ্বতন কর্তারা এদেশে সহ্য করতে পারেন না। তার চেয়ে বড় কারণ হলো, আমার জন্য অথর্ব কর্তারা ঝামেলায় পড়েছিলেন। এদেশের মহান ঐতিহ্যের সব স্মারক-চিহ্ণকে আমি সংরক্ষণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম বলে একটা জাতীর প্রাচিন ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধি শনাক্তকরণের এইসব সামগ্রি গবেষণার নামে ফ্রান্সে পাচার করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছিল।“
“তাই-ই তারা আপনাকে সেখান থেকে সরিয়ে দিল?“
“শুধু সরানো নয়, আমাকে পদে পদে হেনস্থা করা শুরু করল। আমাকে শুনিয়ে কেউ কেউ বলাবলি করত, সে এক বদ্ধ উন্মাদ। মাটির নিচের ইট-খোয়া আর বিভিন্ন মূর্তি নিয়ে তার মাতলামি অসহনীয়।“
“আজব!“
“শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রভবনে চা-চক্রে স্বয়ং রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত সহকারী একজন জেনারেল আমাকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন করলেন: তোমার গবেষণা নিয়ে দেখলাম পত্রিকায় বড় এক নিবন্ধ লিখছে একজন। পাগলটা কে?
“তার প্রশ্নে একজন কেবিনেট সেক্রেটারি এবং তাদের মোসাহেবরা হো হো করে হাসলেন। তাদের হাসিতে আমি অপমানিত বোধ করি নি। মনে হচ্ছিল, কিছু নোংরা আর অশিক্ষিত মানুষ আমার সামনে হলাহলিতে মেতে উঠেছে। আমার রক্ত চঞ্চল হয়ে উঠল। তাকে উত্তরে বললাম: ‘তিনি সেই পাগল যিনি নির্ধারণ করেন, ‘যোদ্ধা’ শব্দকে কেন্দ্র করে সারাজীবন যারা এত প্রশিক্ষণ, রাষ্ট্রের এত খরচ করে পরিশেষে কোনো যুদ্ধই করলেন না, শুধু হাড্ডিসার কৃষকের রক্তকে তাদের তারকাবাহী গাড়ির জ্বালানি বানিয়ে তাদেরকেই ঘৃণা করলেন, প্রাসাদময় বাড়ি এবং পরিশেষে হোটেল ব্যবসায় নেমে নারী-ভক্ষণ যারা জীবন ইতিহাস করলেন আর যুদ্ধের মাঠের কোনো সন্ধান না পেয়ে হুড়াহুড়ি করে ঢাকায় এসে রাজনীতিবিদদের পশ্চাৎ লেহনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলেন –সমাজে তাদের সম্মানের অবস্থান কী হবে? তিনি সেই কথাশিল্পী যিনি মানুষের অন্তর্লোকে ঘৃণা অথবা ভালোবাসার কোন স্তরে এইসব মোসাহেবরা বাস করবেন, তা নির্ধারণ করেন। তিনি ভালো করে জানেন, পদবি, ক্ষমতা অথবা রক্তের কোনো সম্পর্ক দিয়ে মানুষের সম্মান নির্ধারিত হয় না। মানুষের সম্মান নির্ধারণ হয় জ্ঞানের সাথে তার সম্পৃক্ততায় এবং তার কর্মে। আইনস্টাইনের নামের আগে রাজা বাদশাহ অথবা জেনারেল কোনো উপাধি নেই তবু তার নাম উচ্চারিত হলেই মনে পরে, ই=এমসি² ।“
“ওয়াও, বাবা… ইউ আর সো গ্রেট!“ উচ্ছাসভরা দৃষ্টিতেই অরোরা অরিত্রের চোখে চোখ রাখল। তার চোখের ক্ষণিক চাহনি অরিত্রকে বলল, “মানুষের ভাবনা আসলে তার রক্ত অথবা বংশস্রোতের অনুপাতিক!“
তীক্ষ্ণ এই রক্তস্রোতে লুকিয়ে থাকা বোধটুকু অরোরাকেও প্রভাবিত করেছিল এবং অবাক ব্যাপার হলো, সেজন্যই সে হয়তো নিজেও এভাবেই তার ভাবনাকে প্রকাশ করেছিল। নাকি ‘অপমান‘ শব্দটি পৃথিবীর সব মানুষকে একইভাবে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে? অরোরা চয়ন রাহমানের বাকি গল্প শোনার নেশায় বলল, “তারপর?“
“জেনারেল সাহেব রেগে অগ্নিশর্মা হলেন। সেদিনই তিনি উর্ধ্বতন কর্তাকে অপদস্ত করার অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে হাজির হলেন। তার অভিযোগ শুনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে ডাকলেন। বললেন: তুমি তো বাঘের বাচ্চা, হে! তুমি একেবারে আমার মনের কথা বলেছ… তোমার মতো অফিসার আমাদের বেশি বেশি দরকার। কিন্তু যে রাগান তাদের তুমি রাগিয়েছ, ডিপ্লোম্যাট হতে পারলে না? এখন তোমার চাকরিচ্যুতিতেও তারা ক্ষান্ত হবে না, পারলে তোমাকে তারা জেলে ঢুকিয়ে ছাড়বে। তবু, তোমার মঙ্গলের জন্য তোমাকে মনে হয় শেষ পর্যন্ত অবসরে পাঠাতে হবে। এরা ক্ষমতার মাফিয়া। আমি আর কয়দিন বলো! আমার ব্যক্তিগত নাম্বারটা রাখো। অবসরে গিয়ে সমস্যায় পড়লে, ফোন করো। মহান আল্লাহ তোমার সহায় হবেন…
“মা রে, সেদিনই আমি চাকরি থেকে অকালীন-অবসরের দরখাস্ত করেছিলাম। এই দেশে যোগ্যরা এভাবে ঝরে যায়, ধামাধরাগুলো তাদের নৃত্য চালাতেই থাকে… । ভালোই করেছিলাম, পরিবারের পুরাতন পেট্রোলিয়াম ব্যবসাটা দেখার পাশাপাশি আমি আমার অভিসন্দর্ভের বিষয়টুকু আজো সমৃদ্ধ করেই চলছি। তাঁকে আমি আর কোনোদিন ফোন করি নি। কিন্তু মা, অদ্ভুত ব্যাপার কী জানো?“
“কী?“
“সেই জেনারেল নিজেও চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং অবসরে যাওয়ার পর আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন। তার কারণ অবশ্য আমি জানলেও আন্দাজ করে নিতে পারি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার অভিযোগ শুনে হেসেছিলেন এবং হয়তো বলেছিলেন: ছেলেটা আসলেই পাগল। আর পাগলগুলোই দেশটাকে ভালোবাসে বলে সঠিক পন্থায় কাজ করতে গিয়ে নিজে লাঞ্ছিত হয়ে অন্যকেও অপদস্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করে। কী বলো?“
চয়ন থামলেন। কী যেন ভাবলেন। তারপর বললেন, “মা, তুমি যে অভিসন্দর্ভ প্রস্তুত করছ তার জন্য তোমাকে এই কথাটা বলা খুব প্রয়োজনীয় বলে করছি। ভারতবর্ষে সুলতানাত আর মোগলরা বিদ্যাচর্চা করার পরিবর্তে প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায়, নতুন নতুন এলাকা দখল করে তাদের খাজনা আদায়ের অঞ্চল পরিবৃদ্ধির সাথে যে চর্চাটা ভালোবাসতেন তা হলো, তাদের তোষামোদি করা। তারা তাদের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে এই ‘তোষামোদ‘ চর্চাকে মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়েছেন। অপড়ুয়া এক জাতিকে কত সহজেই স্তাবকের দলে পরিণত করা যায়! জেনারেল সাহেব, রাষ্ট্রপতির কথায় চামচার খাতা খেতে বরখাস্ত হওয়ার দুঃখে হয়তো আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন! অসমৃদ্ধ আত্মাগুলো নিজের চেয়ে অন্যের তুষ্টিকে বড় করে দেখে।“
“বাবা, আমি আপনার কথাগুলো মোবাইলে রেকর্ড করে নিচ্ছি কিন্তু। আমি এই বিষয়গুলো আসলেই আমার প্রতিপাদ্যে অন্তর্ভূক্ত করব।“
“ভেবো না, এ নিয়ে আমি তোমাকে ইংরেজিতে লেখা কিছু বই দেব।“
“খুব ভালো হয় তাহলে। আপনি বলুন, প্লিজ।“
“সেজন্যই বলছিলাম যে, একজন রাষ্ট্রীয়-ক্ষমতার মানুষ এমনকি একজন বিজ্ঞানীর চেয়ে একজন মহান গল্পকার একটা সমাজের জন্য বেশি প্রয়োজন। কেন না, একজন গল্পকারের কাছ থেকে রহস্যময় কল্পনা জগতে ঢোকার প্রেরণা পান একজন বিজ্ঞানী, একজন গল্পকার অথবা ঔপন্যসিকই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তির কাছে মানুষের জীবনের আর্তিকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করাতে শেখান। আর গল্পজগত গল্পের অন্তরালে বস্তুত সমৃদ্ধ করে চলে পাঠকের সত্তা; যে সত্তা কারো তোষামোদ তো নয়ই, তার অন্তর্লোককে দূরদৃষ্টিসম্পপন্ন করে তোলে বলে মানুষের মাঝে যা কিছু সাধারণ অথচ মহৎ তা শনাক্ত করতে শেখে। মহান একজন কথাশিল্পীর কাছ থেকে কল্পনা ধার করা বিজ্ঞানী অথবা মানবিক আর্তিকে শনাক্ত করতে শেখা রাজনীতিদের সংখ্যা বাড়লেই সমৃদ্ধ সমাজ গঠন হয়। সংকেতময় স্নায়ুতন্ত্র অথবা অন্তর্লোক বিনির্মানে কথাশিল্পী এবং কবির ভূমিকা অনবদ্য।
রাত বেড়ে যায়। অরণি এসে চয়নকে প্রায় ধমকে নিচে নিয়ে গিয়ে বলে,
তুমি কবে বুঝতে শিখবে যে, দুজন তরুণ-তরুণীর আড্ডার মাঝখানে বুড়োদের জ্ঞানগর্ভ গল্প অথবা আলোচনা প্যাচাল সমতুল্য।
আহা, অরণি; সেটা প্রেমিক-প্রেমিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অরোরা আর অরিত্র তো…
জি না, শুধু অফিসিয়াল সম্পর্ক নিয়ে অরোরা তোমার ছেলের সাথে এতদূর আসে নি। চয়ন, সে অরিত্রকে ভালোবাসে…
কী বাজে কথা বলছ! তাদের আচরণে তা মনে হয় না। চব্বিশ ঘণ্টাও পার হয় নি। তার আগেই কাউকে এত জেনে ফেললে?
হ্যা, জানলাম। গত কয়েক মাস ধরেই আমি অরিত্রের কাছ থেকে মেয়েটার সম্পর্কে জানছি। আর আমার ধারণা পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি নৈসর্গিক গুণসম্পন্ন। একটা ব্যাপার তো অস্বীকার করতে পারবে না যে, অরোরা পনেরো/ষোলো বছর বয়সেই বাবা-মা হারিয়েছে?
সেজন্যই তো তাকে আরো ভালো করে জানা উচিৎ।
না জেনেও তো স্পষ্ট বোঝা যায়, সে লড়াকু এক মেয়ে। না হলে পৃথিবীর সেরা এক প্রতিষ্ঠানের জন্য বাবা-মাকে হারিয়েও সে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছে কীভাবে? তার চেয়ে বড় কথা জীবনে এত সংগ্রাম করে সে তার কোমল অনুভূতি আর আবেগগুলো হারায় নি। চয়ন, অরোরার বাইরের খোলসটা যত অপরূপ তার চেয়ে তার ভেতরটা বেশি আত্মা আর সত্তাময়। যা হোক, আমি ঘুরে দাঁড়ানোর যোগ্যতাসম্পন্ন, সৌন্দর্যের মতোই সত্তাময় নারীকেই আমার ছেলের পাশে সারাজীবন দেখতে ভালোবাসব। আর অরোরা এই সব যোগ্যতাকে ধারণ করে।
বোকা তুমি। কারো অতীত না জেনে, তার মতামত না জেনে এমন অবান্তর ভাবনা ভাবা মেয়েদের কাজ বৈ কি! আর ভিন্ন সংস্কৃতির একটা মেয়েকে কন্যা হিসাবে ভাবতে আমার যত ভালো লাগছে, ঘরের বউ হিসাবে তা ভাবতে আমার তত ভালো না লাগতে নাও পারে। বাবা-মা নেই এজন্য আমি তার প্রতি সদয় এবং দুর্বল। তার মানে এই নয় যে, তাকে… উফ, চয়ন থামো তো, প্লিজ। তোমার সাথে এ নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না। অরিত্র তাকে ভালো বাসল কি বাসল না, তাতে আমার কিছু এসে যায় না। কারণ আমার ছেলেকে আমি ভালো করে চিনি। তার মনের কথা বের হতে সময় লাগে বছরখানেক।

কাজী রাফি
কথাশিল্পী
জন্ম – ২২ নভেম্বর, ১৯৭৫, বগুড়ায়।
মানুষ ও তাদের যাপিত জীবন এবং প্রকৃতি দেখার প্রয়োজনে ঘুরেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। চাকরির প্রয়োজনে আফ্রিকায় বাস করেছেন দুই বছরের অধিক সময় এবং আফ্রিকার প্রকৃতি-সংস্কৃতি, তাদের প্রান্তিক মানুষের যাপিত জীবনকে দেখেছেন খুবই কাছ থেকে। আফ্রিকার পটভূমিতে লেখা ‘ধূসর স্বপ্নের সাসান্দ্রা’ তাঁর প্রথম উপন্যাস। এই উপন্যাসেই কালি ও কলম পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি; তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ, ১১ টি উপন্যাস এবং ৬ টি ছোট গল্পগ্রন্থ সবই পাঠক প্রিয়তায় প্রথম সারিতে। তাঁর লেখা ‘ত্রিমোহিনী’ উপন্যাসকে মহাকাব্যিক অ্যাখ্যা দিয়েছেন কিংবদন্তী ছোট গল্পকার হাসান আজিজুল হক।
পুরস্কার, এইচএসবিসি কালি ও কলম পুরস্কার -২০১০, এমএস ক্রিয়েশন সম্মাননা -২০১০, নির্ণয় স্বর্ণপদক-২০১৩, এসএম রাহী পদক ২০১৯
