ইতিহাস গড়া জয় টাইগারদের

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপরে ঘরের মাঠে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ এ সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সিরিজ নিউজিল্যান্ডের সাথে। এর আগে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে কখনো কিউইদের হারাতে বাংলাদেশ। এবার প্রথম দানেই বাজিমাত। বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া জয় ৭ উইকেটে।

শুরুতে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টস হারা। ব্ল্যাকক্যাপস অধিনায়ক টম লাথাম টস জিতেই নেন ব্যাটিং। আগের মতোই পুরনো টোটকা টাইগারদের। শুরুতেই স্পিন আনেন রিয়াদ। তাতেই সফল টাইগার অধিনায়ক। প্রথম ওভারেই শেখ মাহেদির উইকেট।

ব্লান্ডেল ২, রবীন্দ্র ০, ইয়াং ৫, ডি গ্র্যান্ডহোম ১। কারো ব্যাটে বড় রান নাই। ৯ রানে ৪ উইকেট নাই সফরকারীদের। লাথাম আর নিকোলসের ব্যাটে সমান ১৮ রান। এটাই সর্বোচ্চ রান। ম্যাকনকি ০, ব্রেসওয়েল ৫, এজাজ ৩, ডাফি ৩ রান করে ফিরলে নিউজিউল্যান্ড অল-আউট হয় মাত্র ৬০ রানে। এটি টোয়েন্টিতে ওদের সর্বনিম্ন রান।

বল হাতে মোস্তাফিজ তিন উইকেট নিয়ে সফল। স্পিনারদের বোলিং ফিগার ছিল মেহেদি ৪-০-১৫-১, নাসুম ২-০-৫-২, সাকিব ৪-০-১০-২। সাইফের শিকার দুই উইকেট।

ছোট টার্গেটেও ব্যর্থ বাংলাদেশের দুই ওপেনার। নাঈম শেখ ও লিটন ফেরেন এক রানে। রক্ষা অভিজ্ঞ সাকিব আর মুশফিকে। সাকিবের ২৫ রান। মুশফিক অপরাজিত ১৬ রানে। শেষটুকু রিয়াদের ব্যাটে। ওর রান অপরাজিত ১৪। কিউইদের উইকেট নেওয়া তিন বোলারের ফিগার ছিল এজাজ ৪-০-৭-১, ম্যাকনকি ৪-০-১৯-১, রবীন্দ্র ৪-০-২১-১।

৭ উইকেটে জিতে ইতিহাস টাইগারদের। প্রথম জয় নিউজিল্যান্ডের সাথে। জিতে ৫ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১-০তে এগিয়ে। ব্যাটে বলে পারফর্ম করায় ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসান।

ম্যাচ শেষে এই অলরাউন্ডার জানান, “সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিততে পারা সবসময় দারুণ ব্যাপার। আর আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা কখনও জিতিনি আগে। এই জয় আমাদের প্রেরণা জোগাবে এবং পরের ম্যাচগুলিতে জয়ের আত্মবিশ্বাস দেবে।”

এক দিনের বিরতী। টাইগাররা দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে তিন সেপ্টেম্বর।

Please Post Your Comments & Reviews

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected!!
Share via
Copy link
Powered by Social Snap