
গোলাম মোর্শেদ চন্দন
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানার বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে ১৯৭৪ সালের ৬ নভেম্বর তার জন্ম। পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মাজাহারুল হক (বাহার তালুকদার) এবং মাতা কামরুন নেছা। চন্দন পেশায় ব্যাবসায়ী হলেও নেশায় সার্বক্ষণিক কবি। কবিতা ছাড়াও তিনি অসংখ্য গীতি কবিতার রচয়িতা। তার মৌলিক প্রবন্ধ ‘পরকীয়া’ পাঠক মহলে বেশ প্রশংসনীয় হয়েছে।
গ্রন্থাবলি: একদিন দিগন্তের সাথে, তুমিও; বিষবৃক্ষপূরাণ; যেখানে রাত্রি শেষ সেখানেও রাত; খুঁজি, পূরাণ দেয়ালের ভাঁজে; মাতাল পূর্ণস্নান।
মাতাল পূর্ণস্নান – কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘পূর্বপশ্চিম সাহিত্য সম্মাননা ২০১৭’ তে কবি শান্তিময় বিশ্বাস স্মৃতি পুরস্কার অর্জন করে।
গোলাম মোর্শেদ চন্দনের লেখালেখির মুল বিষয় ভাববাদী চিন্তা ও দর্শন। তার মাতাল পূর্ণস্নান – কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘পূর্বপশ্চিম সাহিত্য সম্মাননা ২০১৭’ তে কবি শান্তিময় বিশ্বাস স্মৃতি পুরস্কার অর্জন করে।


২১.
রাতের বুকে চাঁদ
দিলের আলো ছুটি দিয়ে
হারায় অবসাদ।
২২.
কথা ছিল বেশ
না বলেও খুঁজে ফিরি
ভাবনা অশেষ।
২৩.
বাঁশ বাগানের ফাঁকে
পূর্ণিমা চাঁদ আলো দিলে
মনটা পরে থাকে।
২৪.
রাস্তা জুড়ে ধুলো
ভাসিয়ে নিল বৃষ্টি তারে
এবং কষ্টগুলো।
২৫.
বুকের মাঝে মেঘ
রংধনুতে ছড়িয়ে গেল
গোপন সব আবেগ।
২৬.
তোমার চোখের জল
মায়াবী মন উথলে ওঠে
হারায় মনোবল।
২৭.
মেঘের বুকে ছবি
আচমকা সে হারিয়ে গেল
যেমন প্রতিচ্ছবি।
২৮.
হুট করেই লুট হয়েছে মন
এখন শুধু খুঁজে বেড়াই
প্রেমের বৃন্দাবন।
২৯.
প্রেম যদি হয় পাপ
সকল জীবই জন্মগত
এক এক অভিশাপ।
৩০.
বৃথা জন্মের ঘানি
বেঁচে থেকে মরার মতো
জীবন ভরে টানি।
৩১.
এক জীবনের ঋণ
মা-ই শুধু চায় না নিতে
দেয় গো সীমাহীন।
৩২.
নাড়ী কাঁটা রক্ত
মায়ের সাথে ছিন্ন হলেও
হয় না বিভক্ত?
৩৩.
সবারই দুই মোহ
অর্থ এবং নারীর জন্য
বিদঘুটে বিদ্রোহ।
৩৪.
মোহ মুক্ত হলে
অনন্য এক জীবন পাবে
দেখবে তা সকলে।
৩৫.
চায়ের কাপে ঝড়
বৃথাই সময় নষ্ট করে
জন্ম পরস্পর।
৩৬.
সৃজনে যার মন
শত্রু হলেও দূরে থেকে
ভাববে সে আপন।
৩৭.
সূর্য ডোবার আগে
চলো দুজন হারিয়ে যাই
গভীর অনুরাগে।
৩৮.
স্বপ্ন বুকে পায়
মিশে যাবো এক ভূবনে
আপন ঠিকানায়।
৩৯.
পাহাড় কিম্বা বনে
চূড়ায় গিয়ে খুঁজে পাবো
ধ্যানের পদ্মাসনে।
৪০.
ঘুম ভাঙা রাত একা
ভাবনা যোগে তখনই হয়
তোমার আমার দেখা।