সামাজিক দূরত্ব না থাকলে ঘরের বাইরের চেয়ে ঘরের ভেতর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। খবর এএফপির।

ঘরের বাইরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে চীনের গবেষকেরা ইনডোর এয়ার নামের এক সাময়িকীতে ৭ হাজার ৩২৪টি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের তথ্য তুলে ধরেন। এর মধ্যে সাংকিউ হেনান নামে একটি গ্রামে ঘরের বাইরে কেবল একজনের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

সম্প্রতি আইরিশ টাইমসের তথ্যে জানা যায়, এ বছরের ২৪ মার্চ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডে ২ লাখ ৩২ হাজার ১৬৪ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬২ জন ঘরের বাইরে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। অর্থাৎ মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ করোনায় সংক্রমিত হয়েছে।

[hfe_template id=’81’]

ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বোল্ডারের বিজ্ঞানী জোস লুইস জিমেনেজ বলেন, হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়; এ থেকে বোঝা যায় যে ঘরের ভেতরের চেয়ে ঘরের বাইরেই বেশি নিরাপদ। ঘরের ভেতর আবদ্ধ থাকে। সেখানে বাতাসের চলাচল কম থাকে। তবে ঘরের বাইরে কম বিপজ্জনক। কারণ, এখানে বাতাসের চলাচল বেশি থাকে।
তিনি আরো বলেন, কম ঝুঁকি মানে এটা নয় যে একেবারেই ঝুঁকি নেই। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাঁরা ঘরের বাইরে বেশি সময় কাটান, তাঁদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি তুলনামূলক কম থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রে মাস্ক পরার বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছিল। উদারপন্থীরা করোনাভাইরাস রোধে মাস্ক পরার পক্ষে ছিলেন। অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প–সমর্থিত রিপাবলিকানরা মাস্ক পরাকে ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলে মনে করতেন।

Please Post Your Comments & Reviews

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected!!
Share via
Copy link
Powered by Social Snap