
মৌসুমী রায়
দমদম, কলকাতা
সকাল সকাল ক্যানিং এ পৌছালাম, ওখান থেকে অটো করে লঞ্চঘাট। লঞ্চে উঠে প্রথমেই ব্রেকফাস্ট তারপর সুন্দরবনের ভেতরে ঢোকা। লঞ্চ যত ভেতরে যাচ্ছে প্রকৃতি ততো সুন্দর সেজে উঠছে। চারপাশে সবুজ আর জল, অসাধারণ সুন্দর সেই রূপ।সারাদিনরাত লঞ্চে ভ্রমন, লঞ্চে খাওয়া, লঞ্চেই বিশ্রাম- যেন নতুন এক অনুভূতি। দারুন লেগেছে তিনটে দিন।
চারদিকে শ্বাসমূলের গাছ। প্রকৃতি যেন সুন্দরবনেই সীমাবদ্ধ; সে যেন চির কুমারি। প্রথম দিনে আমরা কিছু দেখতে পাইনি, দ্বিতীয় দিনে নদীর পাড়ে কুমিরকে ঘুমোতে দেখেছি। প্রকৃতির মধ্যে ওদেরকে দেখে কি যে আনন্দ হচ্ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। চিড়িয়াখানায় তাদেরিআঁকে রাখা হয় কিন্তু সুন্দরবনকে ওরাই আটকে রেখেছে। এসব প্রাণীদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
করোনায় যা অবস্থা গোটা পৃথিবীতে আমাদের বেঁচে থাকাটাই এখন ভয়ের কারণ। প্রকৃতিকে আমরাই নষ্ট করেছি, প্রকৃতি তা ফেরত তো দেবেই।




এই তিনদিন সুন্দরবনে গিয়ে কিছু নতুন নতুন উপলব্ধি হয়েছে। ওখানকার মানুষ বলছে ‘আমাদের এখানে করোনা বলে কিছু নেই।‘
বেশিরভাগ লোকের চোখে চশমাও নেই কারণ পুরো প্রকৃতিটাই তাঁদের।
[hfe_template id=’81’]
সকালে সূর্য ওঠা থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত চারদিক সবুজ, প্রাণভরা অক্সিজেন। আর প্রাণীদের কথা? তারা নিজেরাই নিজেদের খেয়ালখুশি মতো বনের মধ্যে চলাফেরা করে নদী থেকে জল খায় নদীর পাড়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
এককথায় অসাধারণ জীবন। এখানে হয়তো পাহাড় নেই, সমুদ্র নেই, কিন্তু বুক ভরা অক্সিজেন আছে যেটা এখন আমাদের খুব প্রয়োজন। তাই বলছি ‘চিরকুমারী সুন্দরবন’।