করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভারত, রোজ ৩ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন ৩ হাজারের বেশি।
প্রায় দুটা বছর ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মহামারি –কোভিড-১৯। প্রতিদিনই লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁয়েছে।
উপমহাদেশের বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি বলেছেন, ‘আমি এপিডেমোলজিস্ট নই বা ভাইরোলজিস্ট নই। মহামারির চরিত্র সম্পর্কে যেটুকু জ্ঞান রয়েছে, তার ভিত্তিতে বলছি যে, কোভিডের সংক্রমণ আপাতত চলবে। আগামী বছর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তা কমবেশি ভোগাবে। সুতরাং সে ব্যাপারে এখন থেকেই মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। ডা. দেবী শেঠি আরো বলেন যে, মহামারি চরিত্র অনুযায়ী দ্বিতীয় ঢেউ সবসময়েই ভয়াবহ হয়। তৃতীয় ঢেউয়ের তীব্রতা কম থাকে। করোনার তৃতীয় ঢেউ আসবেই কি না তা কিছুই জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। … তৃতীয় ঢেউ যদি আসে তা হলে সব থেকে আশঙ্কা ছোটদের নিয়ে।
[hfe_template id=’81’]
‘তৃতীয় ঢেউ এলে আরও কয়েক লাখ ডাক্তার, নার্স ও প্যারামেডিক লাগবে। একটা বিষয় বুঝতে হবে—গত এক বছর ধরে কোভিড সামলাতে সামলাতে ডাক্তার-নার্সদের একটা বড় অংশ ক্লান্ত। আবারও বলছি বয়স্ক রোগীদের সামলাতে তাদের অতটা বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ যদি আসে তা হলে শিশুরা আক্রান্ত হবে। তখন এই ক্লান্ত ওয়ার্কফোর্স দিয়ে তাদের সামলানো যাবে না।
তাঁর মতে ভ্যাকসিনের আর ট্রায়াল দরকার নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন। শুধু দরকার উৎপাদন বাড়ানো।