সচিবালয় থেকে সরকারি ‘নথি চুরির’ অভিযোগ এনে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়ের করা এক মামলায় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কারাগারে আটক ছিলেন।
রোববার, ২৩ মে ২০২১ — সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লা পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে রোজিনা ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন। বিকেল তিনটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জামিনের কাগজপত্র পৌঁছানোর পর কারা কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দেয়। মুক্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রোজিনা ইসলামের পরিবার তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
প্রথম আলোর তরফে বলা হয়েছিল “স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির রিপোর্ট করায় রোজিনা ইসলাম আক্রোশের শিকার হয়েছেন।” তবে তার আগেই রোজিনা ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার সঙ্গে “অন্যায়” করা হয়েছে।

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গত ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও নির্যাতন করা হয়। সেদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১৮ মে রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ১৮ মে ২০২১ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এটা দুঃখজনক ঘটনা। … আমার উদ্যোগে রিমান্ড বাতিল ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হয়নি। রোজিনা ইসলাম অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবেন। তার মামলাটি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ বলেছে, বিষয়টির দিকে তারা নজর রাখছে।